দেশে কথা বলার, সমাবেশ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান করার অধিকার নেই : রিজভী

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশ এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমনের নামে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশে কথা বলার, সমাবেশ করার ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান করার অধিকার নেই। আমরা শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে যাবো তাতেও পুলিশের অনুমতি নিতে হয় যে কতজন যাবো। জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালন করা নিয়েও দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালিয়েছে। গতরাতে মাগুরায় ছাত্রদল, যুবদল নেতাকর্মীদের বাড়িতে হানা দিয়েছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এভাবে বিএনপিকে দমন-পীড়ন ও পিষ্ট করার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আজ (৩০ মে) মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব আয়োজিত বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে তিনি এসব অভিযোগ তোলেন। ড্যাবের সভাপতি হারুন আল রশিদ সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, ড্যাবের মহাসচিব মো. আবদুস সালাম, মো. রফিকুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম শাকিল, পারভেজ রেজা কাকন প্রমুখ। দুপুর ২টা পর্যন্ত এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।

রিজভী বলেন, ড্যাব জাতীয়তাবাদের আদর্শ ধারণ করে মানুষের সেবার ব্রত নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সারাদেশে ড্যাব সুসংগঠিতভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ড্যাবের ভূমিকা অনস্বীকার্য ও ব্যাপক প্রশংসনীয়। আজকে অনেক খ্যাতিমান চিকিত্সককে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। অনেককে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। যারা অধ্যাপক হওয়ার কথা তাদেরকে তা করা হয়নি। বরং যারা অযোগ্য তাদেরকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন ভিসানীতি নাকি ধনী লোকের জন্য। আপনার এই সরকার গত ১৪ বছরে মানুষের ভোটাধিকার লুট করেছে। প্রধানমন্ত্রী সম্রাজ্ঞী হতে চান, ডিক্টেটর হতে চান। এ জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসানীতি জারি করেছে। দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন আইন দিয়ে দেশে বিরাট কারাগারে দেওয়াল তিনি বানিয়েছেন। সুতরাং আজকে আমাদের সংগ্রাম হচ্ছে ফ্যাসিবাদ ও নাৎসীবাদ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম।